বর অজ্ঞান, তরুণী বিয়ে করলেন অতিথিকে
ডেস্ক, প্রতিক্ষণ ডট কম
বিয়ে হবে বর-কনের।সব ঠিকঠাক চলছিল।চলছে আয়োজন, সানাই বাজছে।কিন্তু বর যদি অসুস্থ থাকে বিয়ে কি আর অন্য মানুষের সাথে দেয়া যায়।নাটক সিনেমায় তা দেখলেও বাস্তবে এমন ঘটনা তেমন একটা চোখে পড়েনা।বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, বহু সংস্কৃতির দেশ ভারতে বাস্তবে এমনই এক ঘটনা ঘটে যাওয়ার কথা।
খবরে প্রকাশ, উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদে বাড়ি পঁচিশ বছর বয়সী তরুণ জুগল কিশোরের। তাঁর সঙ্গে বিয়ের কথা পাকাপাকি হয় তেইশ বছরের তরুণী ইন্দিরার। বিয়ের দিনে যথারীতি পাত্র হাজির। মালাবদলের আগ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। মালাবদল করতে যাওয়ার সময়ই বাধলো ঝামেলাটা।
মালাবদলের জন্য হাত বাড়াতে গিয়েই কিশোর হঠাৎ করেই সবার সামনেই ‘জ্ঞান’ (মৃগী রোগ) হারিয়ে মেঝেতে পড়ে যান। তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। এদিকে বরের অসুস্থতাজনিত সমস্যার কথা পাত্রীর পরিবারকে না জানানোয় চরম ক্ষুব্ধ তরুণী।
তখনই জীবনের বড় সিদ্ধান্তটি নিয়ে নেন; ওই পাত্রকে আর বিয়েই করবেন না। সঙ্গে সঙ্গে এও জানান, অনুষ্ঠানে উপস্থিত কেউ তার সঙ্গে মালা বদলে রাজী থাকলে আপত্তি নেই তাঁর।
এ কথা শুনে অতিথিদের মধ্যে হরপাল সিং নামের একজন বিয়েতে রাজি হয়ে যান। হরপাল সিং জুগল কিশোরের ভগ্নীপতির ভাই বলে জানা গেছে। বিয়ের সব আয়োজন ছিল, শুধু বদলে গেল পাত্র। সেই আসরেই পণ্ডিত মন্ত্র পড়িয়ে হরপাল ও ইন্দিরার বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন।
ঘটনা এখানেই শেষ হলে ভালোই হত, কিন্তু এখানেই শেষ নয়। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বিয়ের আসরে উপস্থিত কিশোর। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। তার হতে যাওয়া বউ যে অন্যের হয়ে গেছে, এটা জানতো না কিশোর।
স্বজন ও কিশোর ইন্দিরাকে অনেক অনুরোধ করেন। ইন্দিরাকে বোঝাতে চেষ্টা করেন যে, বিয়েটা না হলে কিশোরের সামাজিকভাবে অন্যর কাছে ‘ছোট’ হয়ে যাবেন। কিন্তু কিছুই আর করার নেই ইন্দিরার। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কিছুটা কথা-কাটাকাটিও হয় বলে খবরে বলা হয়েছে।
তবে স্থানীয় পুলিশ প্রধান আর পি সোলাঙ্কি বলেন, কিশোর আর তার পরিবার মোরাদাবাদে ফিরে যান।
প্রতিক্ষণ/এডি/রাজু